|

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

মানুষ জন্মগতভাবেই একটি সামাজিক প্রাণী। তবে জীবন চলার পথে বিভিন্ন প্রতিকূলতা, ব্যর্থতা, সম্পর্কের টানাপোড়েন, কর্মচাপ ও অসুস্থ পরিবেশ আমাদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। শারীরিক অসুস্থতা আমরা সবাই সহজে চিনতে পারি এবং চিকিৎসাও নেই, কিন্তু মানসিক অসুস্থতা অনেক সময় আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। অথচ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য শারীরিক ও মানসিক উভয় সুস্থতা জরুরি।

আপনি যদি মানসিক অস্বস্তি বা উদ্বেগে ভোগেন, তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য। এখানে আমরা মানসিক রোগের লক্ষণ, কারণ, প্রতিরোধ এবং মুক্তির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

মানসিক রোগ কি এবং কেন হয়?

মানসিক রোগ হলো এমন এক ধরনের অসুস্থতা, যা ব্যক্তির চিন্তাধারা, অনুভূতি, আচরণ এবং সামাজিক জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে। এই রোগের পেছনে রয়েছে মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা, বংশগত কারণ, পারিবারিক কলহ, সামাজিক চাপ, মাদকাসক্তি ও শিশু বয়সে মানসিক আঘাত।

➤ মানসিক রোগ প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত:

১. নিউরোটিক ডিসঅর্ডার:
এই ধরনের সমস্যায় মানুষ দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, আতঙ্ক, মাদকাসক্তি, ইন্টারনেট আসক্তি ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়। এটি তুলনামূলকভাবে সাধারণ এবং বেশি মানুষের মধ্যে দেখা যায়।

২. সাইকোসিস:
এটি বেশি জটিল এবং ভয়াবহ। সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, হ্যালুসিনেশন এর অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাদেশে প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ মানসিক রোগের শিকার। মানসিক রোগের প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব না হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে বিভিন্ন বিষয় এর জন্য দায়ী হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জেনেটিক বা বংশগত প্রভাব, যা পরিবার থেকে প্রজন্মান্তরে স্থানান্তরিত হয়।

এছাড়া পরিবেশগত প্রভাব যেমন পারিবারিক কলহ বা সমাজের চাপ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শারীরিক বা মানসিক যৌন-নির্যাতন, অস্বাভাবিক শিশুপালন, এবং দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপও মানসিক রোগের কারণ হতে পারে

ইন্টারনেট ও নেশাজাত দ্রব্যের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি, মস্তিষ্কের গঠনজনিত ত্রুটি, এবং নিউরো ট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতা মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী। এছাড়া কিডনি ও যকৃতের সমস্যা এবং দীর্ঘমেয়াদী ঘুমের অভাবও মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। এই সমস্যাগুলো মোকাবিলায় সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা অপরিহার্য।

এছাড়া মৃগীরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিকস্, মাথায় আঘাত, ব্রেইন টিউমার, হৃদপিণ্ডের ফেইলিয়রও মানসিক রোগের কারণ হতে পারে।

মানসিক রোগের কারণসমূহ

বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক রোগের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • বংশগত প্রভাব (Genetic)
  • পরিবারিক কলহ বা সামাজিক চাপ
  • শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন
  • মস্তিষ্কের গঠনজনিত ত্রুটি ও নিউরোট্রান্সমিটার ভারসাম্যহীনতা
  • ইন্টারনেট, গেম ও নেশাজাত দ্রব্যে আসক্তি
  • পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
  • স্ট্রোক, মৃগী, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের প্রভাব

কিভাবে বুঝবেন যে আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ কি না?

একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মেখলা সরকার বলেন, যখন কোনো ব্যক্তির আচরনের বড় ধরনের ও লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায়, বিশেষ করে আবেগ প্রকাশে পরিবর্তন আসে এবং সেটা দৈনন্দিন কর্মকান্ডে প্রভাব ফেলে তখন বুঝতে হবে সেই ব্যক্তি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ।

বিশেষজ্ঞরা মানসিক রোগের কিছু লক্ষণ উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলোঃ

  • হঠাৎ করে কারণ ছাড়াই উত্তেজিত হয়ে ওঠা
  • অন্যদের সঙ্গ এড়িয়ে চলা
  • সবার সাথে ঝগড়া বা বাগবিতন্ডায় জড়ানো
  • অনেকদিন যাবত নিজেকে সবার থেকে গুটিয়ে রাখা
  • টানা ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে বিষন্নতায় ভোগা
  • বিনাকারণে অন্যদেরকে সন্দেহ করা
  • গোসল করা, দাত ব্রাশ করার মতো নিয়মিত কাজে গাফিলতি করা
  • নিজের প্রতি উদাসীন থাকা এবং শারিরীক যত্ন না নেওয়া
  • পূর্বে ভালো লাগতো এমন কর্মকান্ডে আগ্রহ কমে যাওয়া
  • খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া
  • অতিরিক্ত শুচিবায়ুগ্রস্থ হয়ে ওঠা
  • সামাজিক সম্পর্ক থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা
  • পেশাগত কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হওয়া
  • সময়মতো না ঘুমানো এবং ঘুমের পরিমাণ কমে যাওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া

উপরের অধিকাং লক্ষণগুলো যদি আপনার মাঝে অনুভব করেন তাহলে বুঝতে নিতে পারেন যে, আপনার মানসিক রোগ রয়েছে। এমতা অবস্থায় বিচলিত হওয়ার কোনো দরকার নেই।

অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগেরও চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। “নিরাময় হাসপাতাল” এর মতো বেশ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে সারা বাংলাদেশে যারা মানসিক রোগের সঠিক চিকিৎসা দিয়ে থাকে।

মানসিক রোগ কি ভালো হয়?

হ্যাঁ, মানসিক রোগ সঠিক চিকিৎসা, থেরাপি ও সামাজিক সহায়তা পেলে সম্পূর্ণভাবে নিরাময়যোগ্য। এটি কোনো অভিশাপ নয় বরং সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। নিয়মিত কাউন্সেলিং, মেডিটেশন, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সহায়তা মানসিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে বড় ভূমিকা রাখে।

মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়

প্রাকৃতিকভাবেই সকল মানুষ ও প্রাণীর মাঝে কম-বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এটা প্রভাব ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং কারো ক্ষেত্রে কিছুটা কম, তবে সবার মাঝেই এটি আছে।

নানারকম শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলে। এটি মানুষের জৈবিক গঠন, মানসিক গঠন ও সামগ্রিক মনোদৈহিক প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে।

অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বেশ কতগুলো কার্যকরী উপায় আছে। সেগুলো হলোঃ

. পরিস্থিতি এড়িয়ে না যাওয়াঃ আমাদের জীবনে কখনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর, কষ্টদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা সেটাকে এড়িয়ে যেতে চাই এবং সেখান থেকে মুক্তি পেতে চাই। কিন্তু বেশিরভাগ সময় এই ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য নেতিবাচক প্রভাব হয়ে দাঁড়ায়।

এধরনের পরিস্থি এড়িয়ে না গিয়ে বরং সেটাকে মোকাবিলা করে সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আগামী দিনগুলো অতিবাহিত করা উচিৎ। এতে করে আমরা নিজেদের মাঝে একটা আত্মবিশ্বাস ও আত্মতৃপ্তি পাবো।

. অতীত ভবিষ্যত নিয়ে না ভেবে বর্তমানে মনোযোগ দেওয়াঃ আমরা, মানুষেরা স্বভাবতই অতীত ও ভবিষ্যত নিয়ে বেশি চিন্তা করতে থাকি। অতীতের নানা রকম পাওয়া, না-পাওয়ার হিসাব আমাদেরকে আফসোস করায়। এতে নানারকম দুশ্চিন্তা তৈরি হয়।

আবার ভবিষ্যতের নানাবিধ পরিকল্পনা আমাদেরকে বিচলিত করে তোলে। বর্তমান কাজে মননিবেশ করতে পারি না। এতে করে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।

. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবঃ মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই দরকারী। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থে বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে মানসিক ক্লান্তি ও বিষাদও দূর হবে।

. মানুষকে সঙ্গ দেওয়াঃ একাকিত্ব মানুষকে মানসিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়। মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করুন সবসময় ভালো মানুষদের সাথে থাকতে। সকলের সাথে হাসিখুশি আচরণ করলে এটা আপনাকে মানসিক তৃপ্তি দিবে এবং আপনি বিচলিত হবেন না বরং প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

. সৃজনশীল কর্মঠ হয়ে ওঠাঃ সৃজনশীলতা মানুষকে নতুন কিছু সৃষ্টিতে সাহায্য করে। আর মানুষ নিজে কিছু সৃষ্টি করতে পারলে তার আনন্দিত হয় এবং তৃপ্তি দেয়। এতে করে নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখা সম্ভব এবং অন্যান্য দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখা সম্ভব।

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় ১০ টি উপায়

মানসিক রোগ আমাদের স্বাভাবিক জীবন চলার পথে একটি অন্যতম অন্তরায়। এটি নানাভাবে আমাদের দৈনন্দিন আনন্দের মুহূর্তগুলো নষ্ট করে দেয়। এই অংশে আমরা মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানাবো।

উপরে উল্লিখিত মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়গুলোও মানসিক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। এগুলো ছাড়া আরো ১০ টি উপায় হলোঃ

  1. অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া (এটা অধিক কার্যকরী)
  2. কাজে ব্যস্ত থাকা
  3. পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া
  4. নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
  5. ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করা
  6. নিয়মিত ব্যায়াম করা
  7. নিয়মমাফিক জীবন-যাপন করা
  8. বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের সাথে মেলামেশা করা
  9. ধুমপান ও মাদক থেকে নিজেকে দূরে রাখা

উপরের উল্লিখিত উপায়গুলো আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপাকারী হবে। তবে পরামর্শ থাকবে দ্রুত ভালো ও অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। বাংলাদেশের স্বনামধন্য মানসিক স্বাস্থ্যমাদক নিরাময় কেন্দ্র, নিরাময় হাসপাতাল সহ অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম ও বিবরণ উল্লেখ করা হলো।

কিছু মানসিক হাসপাতালের নাম ও বিবরন

করোনার ভয়াবহ থাবায় সারা পৃথিবীজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি হতে শুরু করেছে। এজন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও বেশ কিছু মানসিক রোগ নিরাময় হাসপাতাল গড়ে উঠেছে এবং অনেক আগে থেকেই তারা মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছে। তেমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলোঃ

১. নিরাময় হাসপাতাল, ঢাকা

নিরাময় হাসপাতাল হলো বাংলাদেশের অন্যতম নেতৃস্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও মাদক নিরাময় কেন্দ্র, যেটা বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মাদকদ্রব্য বিভাগের অধীনে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। এটা ঢাকার সেরা মানসিক হাসপাতাল। তারা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মানসিক স্বাস্থ্য ও মাদক নিরাময়ের জন্য মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে পারেন।

  • যোগাযোগের মাধ্যমঃ
  • ওয়েবসাইটঃ www.niramoyhospital.org
  • মোবাইলঃ ০১৭৭৫-০১৫০১০, +৮৮০২৪৮১২০১১২
  • ই-মেইলঃ [email protected]
  • ঠিকানাঃ ১৩/১৯, ব্লক-বি, বাবর রোড, মোহাম্মদরপুর, ঢাকা-১২০৭

২. পাবনা মানসিক হাসপাতাল

এটা বাংলাদেশের একমাত্র বিশেষায়িত মানসিক হাসপাতাল। এটি ৪০০ শয্যাবিশিষ্ট মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্র। পাবনা মানসিক হাসপাতালটি পাবনা জেলার হেমায়েতপুরে অবস্থিত।

  • যোগাযোগের মাধ্যমঃ
  • ওয়েবসাইটঃ www.facilityregistry.dghs.gov.bd/org_profile.php?org_code=10001486
  • মোবাইলঃ ০১৭১০-৮৬৪২০৩, +৮৮০২৫৮৮৮৪৬২৩১
  • ই-মেইলঃ [email protected]
  • ঠিকানাঃ হেমায়েতপুর, পাবনা, রাজশাহী

৩. লাইফ স্প্রিং, ঢাকা

  • যোগাযোগের মাধ্যমঃ
  • ওয়েবসাইটঃ www.lifespringint.com
  • ই-মেইলঃ [email protected]
  • ঠিকানাঃ ৫৫/২, লেভেল-৬/১৪, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫ (প্রধান শাখা)
  • বাসা-১০৮, রোড-১২, ব্লক-ই, লেভেল-৪, বনানী, ঢাকা-১২১৩

৪.  মডার্ণ সাইক্রেটিক হাসপাতাল (প্রাঃ) লিঃ

  • যোগাযোগের মাধ্যমঃ
  • ওয়েবসাইটঃ http://www.mentalhealthbd.org
  • ঠিকানাঃ ১১৩/এ, মণিপুরি পাড়া, গেইট-১, ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৬

উপসংহার

মানসিক রোগ কোনো লজ্জার বিষয় নয় বরং এটি একটি চিকিৎসাযোগ্য সমস্যা। সচেতনতা, সঠিক চিকিৎসা এবং ভালো পরিবেশ এই রোগ থেকে মুক্তির পথ তৈরি করে। যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই সমস্যায় ভোগেন, তাহলে আজই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। মনে রাখবেন, সুস্থ মনেই সুস্থ জীবন।

BOOK APPOINMENT